শরীয়তে নামাজের অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, ঈমানের পর যে বিষয় আদেশ করা হয়েছে তা হলো নামাজ, এবং কুরআনে সব চেয়ে বেশি নামাজের আদেশ দেওয়া হয়েছে,
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন-
وَاَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَ وَارْكَعُوْا مَعَ الرّٰكِعِیْنَ
অর্থ: এবং তোমরা নামাজ কায়েম কর, যাকাত আদায় কর এবং রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু কর। (সূরা বাকারা, আয়াত ৪৩)
وَاَقِیْمُوا الصَّلٰوۃَ وَاٰتُوا الزَّکٰوۃَ ؕ وَمَا تُقَدِّمُوْا لِاَنْفُسِكُمْ مِّنْ خَیْرٍ تَجِدُوْهُ عِنْدَ اللهِ ؕ اِنَّ اللهَ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ
অর্থ: এবং নামাজ কায়েম কর ও যাকাত আদায় কর এবং (স্মরণ রেখ), তোমরা যে কোনও সৎকর্ম নিজেদের কল্যাণার্থে সম্মুখে প্রেরণ করবে, আল্লাহর কাছে তা পাবে। নিশ্চয় তোমরা যে-কোনও কাজ কর আল্লাহ তা দেখছেন।
অন্য আয়াতে আল্লাহ পাক এরশাদ করেন-
وَجَاهِدُوْا فِی اللهِ حَقَّ جِهَادِهٖ هُوَ اجْتَبٰىكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَیْكُمْ فِی الدِّیْنِ مِنْ حَرَجٍ مِلَّةَ اَبِیْكُمْ اِبْرٰهِیْمَ هُوَ سَمّٰىكُمُ الْمُسْلِمِیْنَ مِنْ قَبْلُ وَفِیْ هٰذَا لِیَكُوْنَ الرَّسُوْلُ شَهِیْدًا عَلَیْكُمْ وَتَكُوْنُوْا شُهَدَآءَ عَلَی النَّاسِ فَاَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَ وَاعْتَصِمُوْا بِاللهِ هُوَ مَوْلٰىكُمْ فَنِعْمَ الْمَوْلٰی وَنِعْمَ النَّصِیْرُ
অর্থ: এবং তোমরা আল্লাহর পথে সাধনা কর, যেমন সাধনা করা উচিত, তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন এবং দিনের ব্যাপারে তোমাদের প্রতি কোনো সংকির্ণতা আরোপ করেননি। তোমাদের পিতা ইবরাহীমের দ্বীন (কে আকড়ে ধর)। তিনিই তোদের নাম রেখেছেন মুসলিম, পূর্বেও এবং এ কিতাবেও, যাতে রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী হয় আর তোমরা (অন্যান্য) মানুষের জন্য সাক্ষী হও। সুতারং তোমরা নামাজ কায়েম কর, যাকাত আদায় কর এবং আল্লাহকে মজবুতভাবে ধর।তিনিই তোমাদের অভিভাবক। তিনি কত উত্তম অভিভাবক এবং কত উত্তম সাহয্যকারী। (সূরা হজ্ব, আয়াত: ৭৮)
اَقِمِ الصَّلٰوةَ لِدُلُوْكِ الشَّمْسِ اِلٰی غَسَقِ الَّیْلِ وَقُرْاٰنَ الْفَجْر اِنَّ قُرْاٰنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُوْدًا
অর্থ: তুমি সূর্য হেলার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম কর এবং ফজরের নামাজ (কায়েম কর) নিশ্চয় ফজরের নামাজে সমাবেশ ঘটে। (সূরা বনী ইসরাইল,আয়াত: ৭৮)
یٰنِسَآءَ النَّبِیِّ لَسْتُنَّ كَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَآءِ اِنِ اتَّقَیْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَیَطْمَعَ الَّذِیْ فِیْ قَلْبِهٖ مَرَضٌ وَّقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوْفًا وَقَرْنَ فِیْ بُیُوْتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِیَّةِ الْاُوْلٰی وَاَقِمْنَ الصَّلٰوةَ وَ اٰتِیْنَ الزَّكٰوةَ وَاَطِعْنَ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ اِنَّمَا یُرِیْدُ اللهُ لِیُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَیْتِ وَیُطَهِّرَكُمْ تَطْهِیْرًا
অর্থ: হে নবীর পত্নীগণ, তোমরা সাধারণ নারীদের মত নও যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, সুতারং তোমরা কোমল কন্ঠে কথা বল না, অন্যথায় যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে লালসায় পড়বে আর তোমরা ন্যায় সঙ্গত কথা বল। প্রাচীন জাহিলিয়াতের মতো সৈান্দর্য প্রদর্শন করে বেড়িও না এবং নামাজ কায়েম কর, যাকাত আদায় কর। আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর, হে নবীর পরিবার, আল্লাহ তো চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোদেরকে উত্তমভাবে পবিত্র করতে। (সূরা আহযাব, আয়াত: ৩২-৩৩)